আজ শুক্রবার, ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় স্বস্তিতে নগরবাসি

ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায়

ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ব্যস্ত নগরী নারায়ণগঞ্জ । শহরের সড়কগুলোতে লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন যান। ওভার স্পিড এবং বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হঠাৎ বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা ট্রাফিক পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনভর নগরীর চাষাড়া মোড়, ২নং রেল গেট এবং ফতুল্লার শিবু মার্কেট, সাইনবোর্ডসহ বেশ কিছু এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের খুব তৎপরতা দেখা গেছে।

গত কয়েক মাসে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই মূলত বিভিন্ন পরিবহনের লাইসেন্স চেক করার কাজ করেছিল। এবার শিক্ষার্থীদের সেই দেখানো পথে হাঁটছে ট্রাফিক পুলিশ! এমনটাই মন্তব্য নগরীর সাধারণ মানুষের।

সরেজমিনে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার, লেগুনা থামিয়ে রেজিস্ট্রেশন ও চালকের লাইসেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে। কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স চেক করে ত্রুটি পেলেই জরিমানা করছে তারা। পাশাপাশি যাদের গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যন্য কাগজ পত্র ঠিক আছে তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেওয়া হচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলোতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে তাদের। নিয়ম মাফিক এক রাস্তার গাড়ি আটকিয়ে, অন্য রাস্তার গাড়ি ছাড়ছেন আবার আরেক রাস্তার গাড়ি আটকিয়ে অন্য রাস্তার গাড়ি ছাড়ছেন। বেপরোয়া গাড়ি চালকদের ওভার স্পিডিং থেকে নিয়মিত বিরত রাখছেন।

ব্যস্ত রাস্তা গুলোতে ছাত্র-ছাত্রী, বৃদ্ধ পুরুষ-মহিলাদেরকে নিজ দায়িত্বে রাস্তা পার করে দিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশের সক্রিয় ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারন মানুষ ।

এ ব্যাপারে গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা এস এ অনিক বলেন, ‘নিয়মিত এভাবে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা থাকা চাই। তাদের একটা দায়িত্ব আছে। এটা তাদের কাজ। শিক্ষার্থীরা তাদেরকে এটা শিখালো।’ আমি নগরীর একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি এর ধারাবহিকতা যদি সবসময় বজায় থাকে, তবে এক সময় নারায়ণগঞ্জ শহরের সড়কগুলো নিরাপদ সড়কে পরিণত হবে।

সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা সাইফ উদ্দিন ইমরান জানান, ঈদানিং ট্রাফিকদের বেশ তৎপর দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ সড়কের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে ট্রাফিকদের এই তৎপরতা। এই তৎপরতা সবসময় থাকলে, আশাকরি নারায়ণগঞ্জ শহরের দূর্ঘটনার সংখ্যা পরিমানে অনেকটা কমে আসবে এবং সাধারণ মানুষও নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। আমরা চাই ট্রাফিকদের এমন তৎপরতা যেন সবসময় থাকে।

নগরীর ২নং রেল গেটস্থ হোসাইন মো: ইকবাল ট্রাফিক পুলিশদের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আসলে নারায়ণগঞ্জ শহর অন্য সব শহর গুলোর থেকে একটু আলাদা। এত গাড়ী আর যানযটের ভিতর দিয়ে রাস্তায় চলাচল করাটা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ এর ট্রাফিকদের দেখে মনে হচ্ছে রাস্তা যেন এখন পুরো তাদেরই দখলে। তারা নিজেদের মতো করে রাস্তার গাড়ী গুলোকে বেশ সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রন করছে। এটা আসলেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের হঠাৎ এমন তৎপরতার বিষয়ে মুঠোফোনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো: আবদুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য যেহুতু বিশেষ অভিযান এবং ক্যাম্পইন করছি, তার পর থেকেই লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে আসছে না। মূলত, তার প্রভাবেই শহড়ে যানযটের মাত্রা অনেকটা কমেছে।

আবদুর রশিদ আরও বলেন, যাদের কাগজপত্র নেই তারা বিআরটিসি অফিসে লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য  যাচ্ছে। শহড়ে ট্রাফিকের লোকবল কিছু অংশে কম থাকলেও স্কাউটের সহযোগীতায় আমরা রাস্তার গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছি।